মধুর প্রতিশোধ! যোগীকে আটকেছিল মমতা, এবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বিমান বন্দরে আটকে দিলো যোগী Latest Bengali News
যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রে জমি সংঘর্ষে মৃত পরিবারের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনের নেতৃত্বে তৃণমূলে প্রতিনিধি দল। সকালে বারাণসী বিমান বন্দরে নামার সাথে সাথেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সেখানেই আটকে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরে বারাণসী বিমান বন্দর থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। তিনি জানান, ওপরতলার নির্দেশ মেনেই এহেন কাজ করেছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ আধিকারিক।
ডেরেক অভিযোগ করে জানান, আমরা সোনভদ্রে নিহত পরিবারের সাথে দেখা করে, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছিলাম। তাঁদের সবরকম সাহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছিলাম আমরা। কিন্তু যোগীর নির্দেশে আমাদের সেখানে যাওয়া তো দূরের কথা, আমাদের বিমান বন্দর থেকেই বের হতে দেয়নি উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ডেরেক এবং তৃণমূল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দেন।
কিন্তু ওনার ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া কি আদৌ যুক্তিযত? কারণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এইরকম আচরণ তো মমতা ব্যানার্জীর থেকেই শেখা। কারণ লোকসভা ভোটের তারিখ ঘোষণার আগে এরাজ্যে যোগী আদিত্যনাথের পরপর তিনটি সভা আটকে দিয়েছিল মমতা ব্যানার্জীর প্রশাসন। যোগ আদিত্যনাথের হেলিকপ্টার পর্যন্ত নামতে দেওয়া হয়েছিল না এরাজ্যে, এমনকি বালুরঘাটে যোগী আদিত্যনাথের সভার মাঠে রাতারাতি জল ছেড়ে মাথ ডুবিয়ে দিয়ে সভা পণ্ড করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
শুধু যোগী কেন? রামনবমীর দিনে আসানসোলে দাঙ্গা ছড়ানোর পর, এরাজ্যের বিজেপি প্রতিনিধিদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকি আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কেও আসানসোলে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল মমতা ব্যানার্জীর প্রশাসন। তাহলে আজ মমতা ব্যানার্জীর দলের নেতারা অন্য রাজ্যের ঘটনায় কেন নাক গলাচ্ছে?
লোকসভা ভোটের পর বসিরহাট লোকসভা অন্তর্গত সন্দেশখালিতে শুধুমাত্র পতাকা লাগানো কে কেন্দ্র করে বিজেপির পাঁচ কর্মীকে গুলি করে খুন করেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকি ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহান এর বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। তখন ডেরেক ওব্রায়েনের নেতৃত্বে কোন প্রতিনিধি দলই সন্দেশখালিতে নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো অথবা দেখা করার জন্য যায়নি।
শুধু তাই নয়, সন্দেশখালি কাণ্ডে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে মৃত বিজেপি কর্মীদের দেহ কলকাতায় নিয়ে আসার সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দিয়েছিল প্রশাসন। এছাড়াও এরাজ্যে তৃণমূল বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রাও হতে দেয়নি। নিজের রাজ্যেই যখন বিরোধী দলকে এরকম ভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়, তখন অন্য রাজ্যে গিয়ে তৃণমূলের এহেন মাতব্বরি কি তৃণমূল বিরোধী দল সহ্য করবে?
Latest Bengali News
Comments
Post a Comment